সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সোমবার, কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়াই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলমান রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, যদিও EUR/USD-এর তুলনায় এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির জন্য আরও কম কারণ ছিল। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক প্রকাশিত হয়েছে এবং সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আরও হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারে, আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ইতোমধ্যেই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে এবং এখন নতুন করে স্থানীয় পর্যায়ে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। এই সপ্তাহে খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার ফলে ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের জন্য শক্তিশালী কোনো কারণ থাকবে না। রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সংবাদ ট্রেডারদের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডার কীভাবে এই ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করবে সেই পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। দৈনিক টাইমফ্রেম এখনও ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখা যাচ্ছে, তবে এই প্রবণতার মধ্যেও পাউন্ডের মূল্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বৃদ্ধি পেতে পারে না। সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইভেন্ট ছিল না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার দুটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। রাতের বেলা, মূল্য 1.2680-1.2685 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করেছিল এবং পরে 1.2613 লেভেলে পৌঁছে আবারও নির্ভুলভাবে বাউন্স করেছিল। এর ফলে নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের দুটি চমৎকার সুযোগ তৈরি হয়েছিল, যা তাদের 40-50 পিপস পর্যন্ত লাভ অর্জনের সুযোগ দেয়।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পরিলক্ষিত সমস্ত মুভমেন্ট দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা এখনও পাউন্ডের মূল্য 1.1800-এ নেমে আসার প্রত্যাশা করছি, যা আমাদের মতে সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল হবে। আমাদের দৈনিক টাইমফ্রেমে চলমান ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করা উচিত।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে উল্লেখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধির পর, মঙ্গলবার নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের সাম্প্রতিক মুভমেন্টগুলো বেশিরভাগই অসঙ্গতিপূর্ণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কহীন, যা এই সপ্তাহে তুলনামূলকভাবে দুর্বল থাকবে। স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হল 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের দিকে যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।