ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ

যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2603 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ড বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, চার্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে এই পেয়ারের মূল্য সক্রিয়ভাবে নিম্নমুখী হয়নি। মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে, 1.2623 লেভেলের টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল, যা পাউন্ড কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.2643 এর লেভেলে পৌঁছায়।

পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের ক্রেতাদের মধ্যে আশাবাদ বৃদ্ধি করেছে, কারণ মার্কেটে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের দ্রুত সমাধানের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই আশাবাদ ব্রিটিশ কারেন্সির উপর থেকে চাপ কিছুটা কমিয়েছে, যা পূর্বে যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা, জ্বালানি সংকট এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে দরপতনের শিকার হয়েছিল। এছাড়াও, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত মূল্যায়নের পরিবর্তনের ফলে পাউন্ড দুর্বল ডলারের সুবিধা পেয়েছে।

আজ, যুক্তরাজ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং PMI, সার্ভিসেস PMI এবং কম্পোজিট PMI সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের আগে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কিছুটা স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা আশা করছে যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচকগুলোর ফলাফল আপেক্ষিকভাবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়, তাহলে GBP/USD-এর মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে, যা প্রধান রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো ব্রেক করতে সহায়ক হতে পারে। তবে, দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে যদি মার্কিন ডলার আরও শক্তিশালী হয়, যা ফেডারেল রিজার্ভের মাঝারি মাত্রায় হকিশ বা কঠোর নীতি প্রণয়নের প্রত্যাশা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

PMI প্রতিবেদন ছাড়াও, GBP/USD-এর মূল্যের মুভমেন্ট অন্যান্য বিষয় যেমন ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। তাই, ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সব উপলব্ধ প্রতিবেদন ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল

পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2697-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2668-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2697-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।

পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2648-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2668 এবং 1.2697-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল

পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2648-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2620-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।

পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2668-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2648 এবং 1.2620-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

চার্টে কী আছে:

• হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
• গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
• হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
• গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
• MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

• মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নতুন ট্রেডারদের খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত। সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন। স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
• সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।