বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য প্রত্যাশিত মুভমেন্ট প্রদর্শন করেনি। সারাদিন ধরেই এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি কম ছিল, এবং FOMC-এর বৈঠকের পর মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। FOMC-এর বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রকাশের আগে, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন কোন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, ফলে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো তেমন কোন প্রতিবেদন ছিল না। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, পাওয়েলের বক্তব্যের পর মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়া উচিত ছিল, যেখানে তিনি ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা পুনরায় নিশ্চিত করেছেন, যা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে। মূলত, ফেডের চেয়ারম্যান স্পষ্ট করেছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না এবং মুদ্রানীতির শিথিলকরণের বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এই তথ্যকে প্রত্যাশিতভাবেই গ্রহণ করেছে, যার ফলে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এরপরও, এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে স্থিতিশীল হয়েছে, এবং FOMC-এর বৈঠকের ফলাফলকে মাঝারিভাবে হকিশ বা কঠোর হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ফলে, আমরা স্বল্প-মেয়াদে মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবার, 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, এবং সারাদিন এই পেয়ারের মূল্যের তেমন কোন মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে, মূল্য 1.0433-1.0451 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে প্রায় 30 পিপস কমে গিয়েছিল। তবে, FOMC-এর সিদ্ধান্তের ঠিক আগে, এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে, যা থেকে ট্রেডাররা খুব একটা মুনাফা অর্জন করতে পারেনি। অতিরিক্ত কোনো ট্রেডিং সিগন্যালও গঠিত হয়নি।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, বর্তমানে মাঝারি-মেয়াদে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। গতকাল পরিলক্ষিত স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখন উল্টে গিয়েছে। আমরা ইউরোর আরও দরপতনের আশা করছি, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মার্কিন ডলারের পক্ষে রয়েছে। ফলে, সামনে নতুন করে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার, যদি মূল্য 1.0433-1.0451 রেঞ্জের নিচে থাকে, তাহলে এই কারেন্সি পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আজ ইসিবির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা মার্কেটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। বৃহস্পতিবার, ইইউ-তে ইসিবির বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে, পাশাপাশি জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত থাকায় মার্কেটে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।